মাস্ক ছাড়া পর্যটকের ভীড় সৈকতে: কক্সবাজারে করোনার সংক্রমণ বাড়ার আশংকা

সাইফুল ইসলাম, কক্সবাজার জার্নাল ◑বিশ্ব মাহামারি করোনাভাইরাসের কারণে টানা চার মাস ধরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলোতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু ঈদের ছুটিতে সৈকতসহ কক্সবাজারের পর্যটন স্পটে নিষেধাজ্ঞায় আনা হয়েছে শিথিলতা।

তাই সৈকতসহ কক্সবাজারের অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলোতে পুরানো রূপ নিতে শুরু করেছে। ঘুরতে এসে মানা হচ্ছে না করোনার স্বাস্থ্যবিধি। যে যার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি। আর গত কয়েকদিন ধরে যে হারে পর্যটক আসছে এতে করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

এভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পর্যটকদের আগমন বাড়তে থাকলে স্থানীয়দের মাঝে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঘটবে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধির উপর এখনই প্রশাসনিক কঠোর নজরদারি না বাড়ালে করোনার কঠিন পরিস্থিতির শিকার হতে হবে কক্সবাজারের মানুষকে।

তবে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষে থেকে সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য প্রচারণাসহ মাইকিং করতে দেখা গেছে। এমনকি সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে ভীড় করতে শুরু করেছেন পর্যটকসহ স্থানীয় দর্শনার্থীরা।

এদিকে দীর্ঘসময় পর ঘরবন্দি মানুষগুলো সৈকত দেখতে পেয়ে উচ্ছ¡াসিত। ঈদ মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার পর্যটক ও স্থানীয়রা ভিড় জমিয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আগামী ১৭ আগস্ট থেকে সমুদ্র সৈকত ও হোটেল মোটেলসহ কক্সবাজার পৌর এলাকা কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্রেগুলো শর্ত-সাপেক্ষে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

৫ আগস্ট (বুধবার) রাতে ভার্চুয়াল প্লাটফরমে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।

বুধবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্রতিটি পয়েন্ট পর্যটক ও স্থানীয়দের চোখে পড়ার মতো। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই পর্যটক ও স্থানীয়দের মাঝে। স্থানীয়রা কিছুটা মানলেও পর্যটকেরা একেবারেই মানছে না। মাস্ক বা শারীরিক দূরত্বের স্বাস্থ্যবিধি কেউই মানছেন না।

সৈকত আসা স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দীন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে সৈকত প্রবেশ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। ঈদের পর থেকে সৈকতে প্রবেশে শিথিলতার আসার পর ঘুরতে এলাম। অনেকদিন ঘরে হঠাৎ সৈকতে এসে খুব ভাল লাগছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত প্রত্যেক ভ্রমণপিসাসুর জন্য পছন্দের একটি স্থান।

ঢাকা যাত্রাবাড়ি থেকে আসা পর্যটক দম্পতি আব্দুস সালাম ও কোহিনুর বলেন, ভয়াবহ করোনার কারণে পুরো ৪ মাস লকডাউনে ছিলাম বাসায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ। তাই সন্তানদের নিয়ে পছন্দের স্থান সমুদ্র সৈকতে চলে আসলাম। এসেই খুব লাগছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বললেও সংবাদকর্মীদের কোন উত্তর দেননি পর্যটক দম্পতি।